নিজস্ব সংবাদদাতাঃ রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনিতে এক সময়ের সুশৃংখল সুন্দরতম পরিবেশে দক্ষ শিক্ষক দ্বারা পরিচালিত বাংলাদেশ ব্যাংক উচ্চ বিদ্যালয়ে এখন সহকারী প্রধান শিক্ষক ফাহমিদার তেলেসমাতি চলছে, যার কারণে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারছে না আটজন শিক্ষার্থী।
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংক উচ্চ বিদ্যালয়ের ফাহমিদা বেগম একজন সহকারী শিক্ষক ছিলেন। স্বামী প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের চাকরি করার সুবাদে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আনোয়ারুল কবির থাকার সময় প্রভাব খাটিয়ে যোগ্যতার কমতি থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে সুকৌশলে সিনিয়র অভিজ্ঞতা সম্পন্ন শিক্ষকদের ডিঙ্গিয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদটি বাগিয়ে নেয়।তারপর থেকেই শুরু হয় ক্ষমতার অপব্যবহার।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক অভিভাবক ও শিক্ষার্থী জানায়,ফাহমিদা ম্যাডামের ব্যবহার কর্কশ ও রূঢ় উনার কথামতো না চললে ক্লাসে ফেল করানো সহ ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে থাকে। উনার ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে অনেক প্রধান শিক্ষক এই স্কুলে বেশিদিন টিকতে পারেনি।ফাহমিদা ম্যাডামের ক্ষমতার অপব্যবহার ও দাপটে শিক্ষক সহ সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা এখন অতিষ্ঠ! এতে করে স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান দিন দিন কমে যাচ্ছে।
এদিকে বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলী আকবর আলী ফরাজী সাহেবের উপর সহকারী প্রধান শিক্ষক ফাহমিদার ক্ষমতার তেলেছমাতি আসর করেছে। উনি যা বলেন সভাপতি মহোদ্বয় তাই করে অন্য কারো কথায় পাত্তা দেন না। এমনকি ফাহমিদা ম্যাডাম ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যদের নাকি গণার সময় রাখেনা ! উনার কারণে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছেনা আটজন কোমলমতি শিক্ষার্থী।পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারা একজন শিক্ষার্থীর বাবা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক ফাহমিদা ম্যাডাম কে বাদী করে ইতিমধ্যে একটি রিট পিটিশন মহামন্য হাইকোর্টে জমা দিয়েছেন।
এছাড়া অনেক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বিভিন্ন লিখিত অভিযোগ বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করেছেন বলে জানা যায়। ফাহমিদা ম্যাডামের এমন দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যাবহারের কারণে শিক্ষার মান দিন দিন কমে যাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক উচ্চ বিদ্যালয়টিকে রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা সচিবের হস্তক্ষেপ কামনা করছে সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।
এ ব্যাপারে কয়েক দফা যোগাযোগ করেও ফাহমিদা ম্যাডামের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply