মোঃ শাহিন আহমেদ মৌলভীবাজার জেলা
ঢাকায় আজ বুধবার (১৭ আগস্ট) ত্রিপক্ষীয় বৈঠক চলছে।শ্রীমঙ্গলে চা শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরীর মধ্যে দিনব্যাপী বৈঠকে কোনো সমঝোতা হয়নি।
ফলে চা শ্রমিকরা তাদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন। শ্রীমঙ্গলের আসিদ্রোন ইউনিয়নের জঙ্গলবাড়ী চা বগানে পঞ্চায়েত কমিটির উপস্তিতিতে কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছে চা শ্রমিকরা।
দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকায় উন্নীতের দাবিতে দেশের ২৪১ চা বাগানে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছেন শ্রমিকরা। বর্তমানে তারা প্রতিদিন ২৩ কেজি চা পাতা উত্তোলন করে ১২০ টাকা মজুরি পাচ্ছেন।
দৈনিক মজুরি বাড়ানো দাবিতে কাজ বন্ধ রেখে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের চা শ্রমিকরা বাগানে বাগানে মিছিল ও সমাবেশ করেন জঙ্গলবাড়ী চা বাগানের শ্রমিক বৃন্দ। মঙ্গলবার শ্রমিকরা বাগানের পাশাপাশি উপজেলার ভানুগাছ রোডের বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের কার্যালয়ের সামনেও মিছিল করেন।
দুপুরে চা শ্রমিকরা যখন শ্রম অধিপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সামনে মিছিল নিয়ে আসেন তখন ভেতরে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধিদল বৈঠকে ছিলেন। তারা বেতন বাড়ানোর জন্য শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনায় বসেন।
এদিকে চা শ্রমিকদের একটি অংশ উপজেলার চৌমুহনা চত্বরে মানববন্ধন করে দৈনিক মজুরি ৫০০ টাকার দাবি করেন। ‘চা শ্রমিকবৃন্দের’ ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
পরে তারা শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলী রাজীব মাহমুদ মিঠুন এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদের কাছে স্মারকলিপি দেন।
টানা ৮ থেকে ১০ দিন ধরে দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতির পর একদিন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি বা ধর্মঘট পালন করেছেন মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সিলেটসহ দেশের ২৪১টি চা বাগানের শ্রমিক। সপ্তাহিক ছুটি ও জাতীয় শোক দিবসের জন্য দুদিন কর্মসূচি শিথিল করে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন।
Leave a Reply