বিশেষ প্রতিনিধিঃ ১৯৯৭ সালের ১৯ মে কক্সবাজার জেলাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত হওয়ায় বহু পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ে। তদানীন্তন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঐ এলাকা পরিদর্শনে যান। তিনি মানুষের দুঃখ দুর্দশা দেখে অত্যন্ত সহানুভূতিশীল হয়ে পড়েন এবং সকল গৃহহীন পরিবারসমূহকে পুনর্বাসনের তাৎক্ষনিক নির্দেশ দেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৭ সালে “আশ্রয়ণ” নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এ প্রকল্পে মাধ্যমে ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৩৮৪০.৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৯৮,২৪৯টি ভূমিহীন-গৃহহীন-অসহায়- ছিন্নমূল পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
আর এই সুযোগের অপব্যাবহার করে নিজ স্বার্থ সিদ্ধি করছে কিছু অসাধু ক্ষমতাধর ব্যাক্তিরা।
তারই ধারাবাহিকতায় মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়েও প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘড় বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেখানে ঘড় বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিরা স্থানীয় হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকের লোক হওয়ায় বাড়ীঘর থাকা সত্তেও তাদের নামে ঘড়গুলো বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় ঘড় বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিরা না থেকে ভাড়া দিয়েছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া যায় । ফলে চেয়ারম্যানের স্বজনপ্রিতী ও সঠিক ভাবে যাচাইবাছাই না করে ঘড় বরাদ্দ দেয়ায় উপজেলা প্রশাসনকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, লৌহজং উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের শিমুলিয়া এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের ৬ টি ঘড় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সেই ঘর যাদের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে মোঃবিপ্লব, খোরশেদ আলম, মারুফ ও ইমাম হোসেনসহ ৪ জনের রয়েছে নিজস্ব বাড়ি ঘড়। তার পরেও হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মমেল হক এর তার দল করায় তারা ঘরগুলো বরাদ্দ পায় । এতে করে বঞ্চিত হয়েছে আশ্রয় ভূমিহীন অসহায় ছিন্নমূল পরিবার গুলো।
স্থানীয়রা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় ভূমিহীন মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ঘড়গুলো তৈরি করেছেন যাতে ভূমিহীনরা আশ্রয় ও ঠিকানা পায়। কিন্তু চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক সেই ঘড় গুলো তার নিজের লোকজনকে দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ওই ৪ ব্যাক্তি প্রভাবশালী হওয়ায় সরকারি ঘড়ে নিজেরা না থেকে ভাড়া দিয়েছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা আরো বলেন, যাদের মাঝে এই ঘড় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তাদের বরাদ্দ বাতিল করে যারা ভূমিহীন নদী ভাঙ্গন কবলিত তাদের চিহৃিত করে ঘড়গুলো দেয়া হোক এবং এ দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থায় নেয়ার দাবীও করেন বিক্ষুব্ধ জনতা।
এ বিষয়ে হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার এখানে সরকারি লিস্ট করে সে লিস্ট অনুযায়ী ৬ টি ঘড় দেয়া হয়েছে, প্রতিবেদকের পরবর্তী প্রশ্নের উওর না দিয়েই তিনি ফোন রেখে দেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল আউয়াল বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা, তবে আমি তদন্ত করবো, যদি ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায় তবে সে অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply