আজ ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম:
বিআরটিসি’র বিরুদ্ধে বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে অপতৎপরতাকারীদের বিরুদ্ধে সাইবার আদালতে মামলা। চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়ালো বিআরটিসি। এডভোকেট সোহানা তাহমিনার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা উচ্চ আদালতে। মুন্সিগঞ্জ-২ আসনে ট্রাক প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করবেন এড, সোহানা তাহমিনা। লৌহজংয়ে নানা আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত। মুন্সীগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী পালিত হল মহান বিজয় দিবস। লৌহজং উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বিজয় দিবস উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী মেলার আয়োজন। লৌহজংয়ে আদালতের রায় অমান্য করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, মানবেতর জীবন-যাপন ভুক্তভোগী পরিবার। লৌহজংয়ে ভাওতা দিয়ে লবণের বিনিময়ে সর্বস্ব লুট! লৌহজংয়ে ৫ জয়িতার সম্মাননা লাভ।
||
  • Update Time : ডিসেম্বর, ১৯, ২০২১, ১২:২৯ অপরাহ্ণ

র‌্যাবের অহংকার ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা : দেশের সকল স্থরের মানুষের মধ্যে আশার স্বপ্ন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়নের (র‌্যাব) অহংকার দক্ষ মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। তার বদৌলতে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়ন (র‌্যাব) জনগণের বন্ধু একটি জনপ্রিয় ধারণা সমাজের মাঝে। দূরদর্শী পরিকল্পনা নিয়ে র‌্যাবকে জনগণের বন্ধু প্রমাণ করতে সফল হয়েছেন। তার নিরলস প্রচেষ্টা আশা জাগিয়েছে সচেতন মহলে। নিরন্তর প্রচেষ্টার ফল পেতে শুরু করেছে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ। সরকারের ভাবমূর্তি কতটা উজ্জ্বল হতে পারে তার অনুকরণীয় অনুসরনীয় দৃষ্টান্ত তিনি। জানা যায়, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বাংলাদেশ পুলিশের একজন কর্মকর্তা এবং র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাট্যালিয়নের(র‌্যাব) দায়িত্বাধীন মহাপরিচালক।
২০২০ সালের ৮ এপ্রিল তাকে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাট্যালিয়নের মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। ১৫ এপ্রিল থেকে তিনি নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১৯ সালের ২৮ আগস্ট থেকে ২০২০ সালের ১৪ এপ্রিল মেয়াদে তিনি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৬৪ সালের ১২ জানুয়ারি সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার শ্রীহাইল গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৯ সালের ২০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পুলিশের সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট (এএসপি) হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। ১৯৮২ সালে বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের ১৯৮৬ ব্যাচের কর্মকর্তা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিরাজগঞ্জ ও চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এবং চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার, এডিসি (ডিএমপি), নীলফামারীর পুলিশ সুপার, ডিএমপির উপ কমিশনার (ডিসি) এবং ঢাকা পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি, ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি, পুলিশ সদর দপ্তরে ডিআইজি (অপারেশনস) এবং ময়মনসিংহ রেঞ্জের প্রথম ডিআইজি, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি, ২০১৯ সালের ২৮ আগস্ট সিআইডির প্রধান এবং ২০২০ সালের ৮ এপ্রিল তাকে র‌্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। দীর্ঘ জীবনের গৌরবোজ্জ্বল কর্মজীবনে তিনি র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়ন (র‌্যাব) এবং বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে সততা, দক্ষতা, নিষ্ঠা, পেশাদারিত্ব ও সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন।
একজন দক্ষ এবং ভিশনারী কর্মকর্তাই নন, মানবিকও বটে। দায়িত্ব পেয়েই ভয়ংকর করোনা পরিস্থিতিতে তিনি সর্বোচ্চ মানবিকতায় নিজেকে নিবেদিত করেছেন। নিজেকেও উৎসর্গ করেছেন মানব সেবায়। করোনাকালে সারা দেশে করোনা আক্রান্ত মানুষের পাশে পুলিশের ভূমিকা ছিল অনন্য, অসাধারণ। সর্বদাই একজন অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায় নিজেকে উৎসর্গ করেছেন মানব সেবায়। সম্প্রতি তিনিসহ কর্মকর্তার মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে স্থম্ভিত ময়মনসিংহ বিভাগের মানুষ। তারা বলছেন, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের মত একজন ভাল মানুষকে কালিমাপাত করা হয়েছে। যা সঠিক নয়।
গত ১২ ডিসেম্বর বরগুনার পাথরঘাটা নতুন বাজার ঘাটে উপকূলীয় মৎস্যজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, র‌্যাব বাংলাদেশের সংবিধান, আইন ও বিধি অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। তাদের যে কোনো অভিযানে একজন ম্যাজিস্ট্রেট থাকে। ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো সুযোগই নেই। আমাদের কার্যক্রম জ্যুডিশিয়াল সিস্টেমে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত করে থাকেন। থানা পুলিশ এটা তদন্ত করে থাকে। আমরা কিন্তু তদন্ত করি না। এই তদন্তের পর যদি মামলা করার প্রয়োজন হয়, মামলা হয়ে যায়। সেই মামলার তদন্ত হয়। এরপর জ্যুডিশিয়াল সিস্টেমে সেটা কোর্টে যায়। এরপর যাচাই-বাছাই হয়। তারপর সেই সিদ্ধান্ত হয়, এরপরই আমাদের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়ে থাকে। এ ছাড়া, আমাদের স্বাধীন মিডিয়া আছে, সুশীল সমাজ আছে, সব দিক থেকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে প্রতিটি বিষয় যাচাই-বাছাই হয়। এখানে আমাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো সুযোগ নেই। সবকিছু আইন এবং বিধির আলোকে সংগঠিত হচ্ছে। র‌্যাব মানবাধিকার লঙ্ঘন করেনি। সারাদেশের মানুষকে নিরলস পরিশ্রম করে নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে। সে হিসেবে বঙ্গোপসাগরের দস্যুতা আজ নেই। র‌্যাব সব সময়ই কঠোর অবস্থানে ছিলো, এখনো আছে। মতবিনিময় সভায় দস্যুদের উদ্দেশে র‌্যাব প্রধান বলেন, আপনাদের কঠোরভাবে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, আপনারা এ পেশা ছেড়ে দেন। এ পেশা না ছাড়লে আমাদের হাত রেখে রেহাই পাবেন না। আগের মতো অবস্থাই হবে আপনাদের। আপনাদের পূর্বসূরিদের অবস্থা যেমন দেখছেন, আপনাদেরও একই পথের পথিক হতে হবে। ইতোপূর্বে যে সব দস্যুরা আত্মসমর্পণ করেছে তাদের র‌্যাব কর্মসংস্থান দিয়েছে।
এ পর্যন্ত ৩২৬ জনকে কর্মসংস্থানের আওতায় আনা হয়েছে। আপনারাও (দস্যু) আত্মসমর্পণ করেন, অন্ধকার পথ থেকে ফিরে আসেন, আপনাদেরও কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া হবে। র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, র‌্যাব ফোর্স এর প্রতিষ্ঠালগ্ন হতেই “র‌্যাব ইন্টেলিজেন্স উইং” সাফল্যের সাথে তাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এই উইং মূলত ঘটনা ঘটার পূর্বে ঘটনার বিস্তারিত তথ্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করে এবং কখনো কখনো অপরাধ সংগঠিত হওয়ার পরে ঘটনা পরবর্তী পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে গোপনে ও সুকৌশলে রহস্য উন্মোচন করে অপরাধ দমন ও আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। অবৈধ অস্ত্র ও বিস্ফোরকধারী উগ্র জঙ্গী, চরমপন্থী, শীর্ষ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ এবং জলদস্যুদের বিরুদ্ধে এ উইং এর এই কর্মতৎপরতা যথারীতি অব্যাহত রয়েছে। এ উইং এর ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ সারাদেশে তাদের গোয়েন্দা কার্যক্রমের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করতঃ তা যাচাই-বাছাই করে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, দূর্নীতি, চোরাচালান, মাদক, জঙ্গীবাদসহ যে কোন অপরাধ দমনে অভিযান পরিচালনা করছে।
এ দেশের মানুষের ধর্মভীরুতার সুযোগ গ্রহণে সচেষ্ট জঙ্গী সংগঠনসমূহের অপতৎপরতা ও পরিকল্পনার তথ্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরে এনে ২০১৩ সালে দুইশত চৌদ্দ জন জঙ্গীকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এ উইং এর ইনফরমেশন ও ইন্টারসেপশন ব্রাঞ্চ উন্নত প্রযুক্তির অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহারের মাধ্যমে র‌্যাবের সকল ব্যাটালিয়ন ও দেশের অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে প্রযুক্তিগত সহায়তা/তথ্য প্রদান করছে এবং র‌্যাবের সার্বিক আভিযানিক কর্মকান্ডে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এক সময়ের আতংক চরমপন্থীদের দমনেও এ উইং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
২০১৩ সালে কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, নড়াইল, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, পাবনা, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, ও নওগাঁ জেলায় এ উইং এর সহযোগিতায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালিত হয়। ফলে চরমপন্থী তৎপরতা বর্তমানে আইন-শৃংখলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ উইং এর ইন্টারোগেশন ব্রাঞ্চ ও অত্যন্ত দক্ষতার সাথে চাঞ্চল্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ মামলার বিভিন্ন আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে শীর্ষ অপরাধী, নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি, হিজবুত তাহরীর ও হুজি সদস্যদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্যাদি উদ্ধার করেছে যা জঙ্গীবাদ দমনে ব্যাপক সফলতা এনে দিয়েছে এবং দেশে-বিদেশে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও পড়ুন