আজ ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম:
বিআরটিসি’র বিরুদ্ধে বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে অপতৎপরতাকারীদের বিরুদ্ধে সাইবার আদালতে মামলা। চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়ালো বিআরটিসি। এডভোকেট সোহানা তাহমিনার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা উচ্চ আদালতে। মুন্সিগঞ্জ-২ আসনে ট্রাক প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করবেন এড, সোহানা তাহমিনা। লৌহজংয়ে নানা আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত। মুন্সীগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী পালিত হল মহান বিজয় দিবস। লৌহজং উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বিজয় দিবস উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী মেলার আয়োজন। লৌহজংয়ে আদালতের রায় অমান্য করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, মানবেতর জীবন-যাপন ভুক্তভোগী পরিবার। লৌহজংয়ে ভাওতা দিয়ে লবণের বিনিময়ে সর্বস্ব লুট! লৌহজংয়ে ৫ জয়িতার সম্মাননা লাভ।
||
  • Update Time : আগস্ট, ১৮, ২০২২, ১০:১২ পূর্বাহ্ণ

তালিকায় চেয়ারম্যান-মেম্বারের পছন্দের লোক! বাদ পড়ছেন অনেক হতদরিদ্র পরিবার!

নড়াইল প্রতিনিধিঃ নড়াইলের লোহাগড়ায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বল্প মূল্যে খাদ্য সহায়তা চলমান খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ডিজিটাল ডাটাবেজ ব্যবস্থাপনার আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে উপকার ভোগীদের ডাটাবেজ প্রণয়নের সঙ্গে তালিকা যাচাই করণ করা হবে। এতে তালিকায় আরও স্বচ্ছতা আসার পাশাপাশি অনিয়ম হ্রাস পাবে এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির নীতিমালা বহির্ভূত কোনো নাম তালিকায় থাকার সুযোগ থাকবে না।

সূত্রে জানা গেছে, এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটির এক মিটিংয়ে কার্ডধারী মৃত এবং সচ্ছল ব্যক্তিদের নাম পরিবর্তন করে প্রকৃত হতদরিদ্র, ভ‚মিহীন, কৃষি শ্রমিক, দিনমজুর, উপার্জনে অক্ষম এবং যে সব পরিবারে শিশু বা প্রতিবন্ধি রয়েছে তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন খাদ্যবান্ধব কমিটির মাধ্যমে সংশোধীত নতুন উপকার ভোগীদের তালিকা আহবান করা হয়।

অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা কমিটির এই সিন্ধান্তকে পুঁজি করে কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা নিজ দলের বাইরে থাকা অনেক হতদরিদ্রদের নাম বাতিলের প্রস্তাব করে একটি তালিকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর প্রেরণ করেন। সেই নতুন তালিকায় দেখা যায় পূর্বের অনুমোদিত খাব্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকায় থাকা বেশিরভাগ দ্ররিদ্র পরিবারের পরিবর্তে চেয়ারম্যান মেম্বারদের পছন্দের লোক ঠাঁই পেয়েছে।
দিনমজুর মো. জিয়াউর রহমান। তাঁর বাড়ি উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের সত্রহাজারী গ্রামে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার প্রধানের সহযোগিতায় ১০টাকার কার্ডের চাল ভোগ করে আসছি। কার্ড ডিজিটাল করার কথা শুনে ইউনিয়ন পরিষদে গেলে সেখানকার লোক আমাকে ফিরিয়ে দেয় এবং বলে আমার নাম এবার বাদ দেওয়া হয়েছে।

আগে থেকেই ১০টাকার চালের সুবিধাভোগী অসচ্ছল পরিবারের সদস্য মো. সবুর কাজী, মোসা. সাবিনা বেগম, কাজী লিয়াকত হোসেন, সেলেখা বেগম, কাসেদ খান, রানা মোল্যাসহ নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের মোট ২৩৭জনের নাম বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, কোন কারন ছাড়াই কেন নাম বাতিল করা হচ্ছে?

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৪নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুন্সী জোসেফ হোসেন বলেন, আগের চেয়ারম্যানের সময়কালে ঢালাও ভাবে উপকার ভোগীদের নাম দেওয়া হয়েছিল। আমরা একটু সমন্বয় করার চেষ্টা করছি।
কোনরকম যাচাই বাছাই ছাড়া কেন নতুন ব্যক্তিদের নাম খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ডিজিটাল ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে এবং নোটিশ ছাড়াই অনুমোদিত কার্ডধারী উপকার ভোগীদের নাম বাতিল করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটির সদস্যসচিব ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. মান্নান আলী ছাপ জানিয়ে দেন এসব প্রশ্নের জবাব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরাই দিতে পারবেন। এর বাইরে কোন উত্তর আমার কাছে নেই।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলায় মোট কার্ডধারী উপকার ভোগীর সংখ্যা ১৫ হাজার ৮৪১ জন। যেখানে নোয়াগ্রাম ইউনিয়নে ১ হাজার ৩৯০জনের মধ্যে ২৩৭জন, শালনগর ইউনিয়নে ১ হাজার ৩৪৩ জনের মধ্যে ২৭৮জন, লোহাগড়া ইউনিয়নে ৪৯২ জনের মধ্যে ১৭৮জন, নলদী ইউনিয়নে ১ হাজার ৯৭৪ জনের মধ্যে ১৮৮জন, লক্ষীপাশা ইউনিয়নে ৮০৩ জনের মধ্যে ৩২০জন, দীঘলিয়া ইউনিয়নে ১হাজার ৬৯৪ জনের মধ্যে ১২জন এবং লাহুড়িয়া ইউনিয়নে ১ হাজার ৮১৭ জনের মধ্যে ৭৯২জনের নাম বাতিল করে নতুন নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও পড়ুন