আজ ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম:
বিআরটিসি’র বিরুদ্ধে বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে অপতৎপরতাকারীদের বিরুদ্ধে সাইবার আদালতে মামলা। চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়ালো বিআরটিসি। এডভোকেট সোহানা তাহমিনার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা উচ্চ আদালতে। মুন্সিগঞ্জ-২ আসনে ট্রাক প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করবেন এড, সোহানা তাহমিনা। লৌহজংয়ে নানা আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত। মুন্সীগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী পালিত হল মহান বিজয় দিবস। লৌহজং উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বিজয় দিবস উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী মেলার আয়োজন। লৌহজংয়ে আদালতের রায় অমান্য করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, মানবেতর জীবন-যাপন ভুক্তভোগী পরিবার। লৌহজংয়ে ভাওতা দিয়ে লবণের বিনিময়ে সর্বস্ব লুট! লৌহজংয়ে ৫ জয়িতার সম্মাননা লাভ।
||
  • Update Time : ডিসেম্বর, ১৮, ২০২১, ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ

ড্রাইভিং লাইসেন্স : যে কারণে ভোগান্তিতে পুরনো প্রার্থীরা

ঢাকা : দেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে স্মার্ট লাইসেন্স হাতে পাওয়া পর্যন্ত পদে পদে ভোগান্তি পোহাতে হয়নি এমন গ্রাহক পাওয়া দুষ্কর। সুখবর হচ্ছে, নতুন করে যারা স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছেন, পুরাতন গ্রাহকদের মতো এক থেকে আড়াই বছর ধরে তাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। নতুন গ্রাহকরা ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন পরীক্ষা পাস করার পরপরই হাতে পেয়ে যাচ্ছেন ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড। তবে স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তিতে অবহেলিত থাকতে হচ্ছে পুরনো গ্রাহকরা।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এর সূত্রে জানা গেছে, ড্রাইভিং লাইসেন্স স্মার্টকার্ড সরবরাহকারী হিসেবে চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান টাইগার আইটি ২০১৯ সাল থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেয়। এরপর বেশ বিপাকে পড়ে বিআরটিএ। তাই দুই বছরের বেশি সময় ধরে আটকে ছিল ১২ লাখ ৪৫ হাজার স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স। গত ১০ অক্টোবর থেকে আটকে পড়া এসব লাইসেন্স গ্রাহককে দেওয়া শুরু করেছে। আটকে পড়া ১২ লাখ ৪৫ হাজার লাইসেন্স মুদ্রণের জন্য গত ২৯ আগস্ট বিএমটিএফের সঙ্গে বিআরটিএ চুক্তি সই করে। এরপর গত ১০ অক্টোবর থেকে স্মার্ট কার্ড লাইসেন্স সরবরাহ শুরু করেছে বিআরটিএ। পুরাতন লাইসেন্সপ্রত্যাশীদের মন খারাপ ভালো করার জন্য সুখবর হচ্ছে আগামী পাঁচ মাসের মধ্যে আটকে থাকা ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহ শেষ করবে বলে বিআরটিএ জানিয়েছে।

পুরাতন লাইসেন্সপ্রত্যাশী জহিরুল ইসলাম, সোহাগ, তানভীর, নাজমুল ও কয়েকজন গনমাধ্যমকর্মী বলেন, প্রায় দুই বছর হয়েছে তারা ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছেন। এখনও তাদেরকে স্মার্টকার্ড (ড্রাইভিং লাইসেন্স) দেওয়া হয়নি। ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরিবর্তে মোটরযান চালানোর অস্থায়ী অনুমতিপত্র হিসেবে অন্তর্র্বতীকালীন প্রাপ্তি স্বীকার রশিদ নামে তাদের যে কাগজটি দেওয়া হয়, সেটি একেবারেই পাতলা। অনেক সময় ছিঁড়ে যায়, লেখা উঠে যায়। গাড়ি চালানোর জন্য সাময়িক যে কাগজটি দেওয়া হয়, সেটার মেয়াদ ছয় মাস। প্রতি ছয় মাস পর পর বিআরটিএ’তে গিয়ে এটা নবায়ন করতে হয়। কাগজটি নবায়ন না করা থাকলে রাস্তায় পুলিশের মামলা ও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে তাদের। তারা আরো জানান, তাদের মতো লাখ লাখ গ্রাহক প্রতিদিন সড়কে ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হচ্ছে।

নতুন লাইসেন্সপ্রত্যাশী আনোয়ার হোসেন ও শফিকুর রহমান বলেন, আমরা বায়োমেট্রিক দেওয়ার পর যথাসময়ে স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড হাতে পেয়েছি।

পুরাতন লাইসেন্সপ্রত্যাশীরা কবে নাগাদ স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড বুঝে পাবেন এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিআরটিএর একজন সহকারি পরিচালক বলেন, স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহের স্থবির অবস্থা কিছুটা কেটেছে। পুরোনো সাড়ে ১২ লাখেরও বেশি আবেদন আটকে আছে। সেগুলো সরবরাহ বা কার্ড প্রিন্টের ব্যাপারে আমাদের মেশিন টুলস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। আশা করছি আগামী মার্চ/এপ্রিলেরে মদ্ধে সবাইকে কার্ড বিতরণ করা হবে।নতুন লাইসেন্সপ্রত্যাশীদের

বিষয়ে তিনি বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য নতুন যারা বায়োমেট্রিক দিচ্ছে, তাদের যথাসময়ে স্মার্টকার্ড সরবরাহ করা হচ্ছে।এক্ষেত্রে তারা যথা সময়েই কার্ড পেয়ে যাচ্ছেন।

মিরপুর সার্কেল অফিস সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি সেনাবাহিনীর বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) থেকে ১০ হাজার ২০০টি স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স তাদের প্রদাণ করেছেন। তার মধ্যে চার হাজার ২০০টি ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহ করা হয়েছে গ্রাহকদের কাছে।

আরেক স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স দিচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাদ্রাজ সিকিউরিটিজ কোম্পানি। এই প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি বিআরটিএ মিরপুর কার্যালয়ে সরবরাহ করেছে ১৮ হাজার ২০০টি স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স। তার মধ্যে গ্রাহকদের কাছে সরবরাহ করা হয়েছে পাঁচ হাজার ২৬০টি। বাকি ১২ হাজার ৯৪০টি লাইসেন্স কার্ড পড়ে রয়েছে বিআরটিএ এই সার্কেল অফিসে।

বিআরটিএর মিরপুরের মতো, উত্তরা, কেরাণিগঞ্জ সার্কেল অফিসে গিয়ে জানা যায়, পুরাতন লাইসেন্সপ্রত্যাশীরা স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স একটি বড় অংশ লাইসেন্স তৈরি হওয়ার পরও তা সংগ্রহ করছেন না। এই অবস্থায় বিআরটিএ কর্মকর্তারা বিপাকে রয়েছেন।

এ বিষয়ে বিআরটিএর লাইসেন্স শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, লাইসেন্সপ্রত্যাশী গ্রাহকদের মোবাইল ফোনে বিআরটিএ থেকে এসএমএস পাঠানো হচ্ছে। কিন্ত সাড়া দেওয়ার প্রবণতা কম। কারণ বহু গ্রাহক মোবাইল ফোনের সিম পরিবর্তন করে ফেলেছেন। ফলে মেসেজ পাঠালেও তাদের কাছে তা পৌঁছাচ্ছে না। এ অবস্থায় আমরা নির্দিষ্ট নম্বরে বারবার ফোন দেওয়ার পর বন্ধ পাচ্ছি।

গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্সের স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহ করার কথা ছিল। কিন্ত করোনা মহামারির কারণে আঙুলের ছাপ নেওয়া বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। এ কারণে দুই দফায় সময় বাড়িয়ে নেয় প্রতিষ্ঠানটি। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি পাঁচ বছরে ৪০ লাখ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহ করবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও পড়ুন