যারা হায়াৎ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ গত ০২/০৬/২০২৩ তারিখে এস আই রবিন এবং এস আই মাসুম পল্টন থানায় জোর পূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে স্ট্যাম করে নেয় ভুক্তভোগী রিয়াদ হোসেন নামে এক ব্যাক্তিরকাছ থেকে। গতকাল ওই ভূক্তভোগি মতিঝিল ডিসির বরাবর অভিযোগ নিয়ে মতিঝিল ডিসি অফিসে গিয়ে ডিসিকে বিষয়টি সম্পূর্ন ভাবে জানায়। ডিসি ঘটনা শুনে পল্টন থানার ওসি কে তাৎক্ষনিক ফোন করে বলে দেয় এবং রাগারাগি করে। কেনো থানায় নিয়ে দারোগা স্ট্যাম্প করেছে এবং ভুক্তভোগিকে ওসির সাথে দেখা করতে বলেন ডিসি।
পরে ওই ভুক্তভোগী ডিসির রুম থেকে বের হয়ে সরাসরি পল্টন থানায় গেলে ওসি ভুক্তভোগী রিয়াদ হোসেনের সামনে ডিসি বরাবর লিখিত অভিযোগের দুই এসআইকে ডেকে বকাবকি করে এবং ভূক্তভুগোকে বিষয়টার জন্য দূঃখ প্রকাশ করেন। কিন্তু দারোগা ওখান থেকে বের হয়ে শিশির ও ফারুক নামে দুই গুন্ডা ও তাদের সহযোগিদেরকে ডেকে তাদের সহযোগিতায় ভূক্তভুগিকে পল্টন থানার এসি রুমে নিয়ে যায়।
এ সময় এসি গোলাম রুহানির সহযোগিতায় পূনরায় ভূক্তভুগী কে হুমকি ধামকি দিয়ে টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দেয় এবং আগামীকালের মধ্যে টাকা থানায় এসে টাকা দিতে হবে বলেন। তা না হলে তাকে বিভিন্ন মামলা দিবে বলে ভয়-ভীতি দেখায় । এ সময় ভূক্তভোগী ভয় পেয়ে সব শর্তে রাজি হলে তার সাথে ৫/৬ জন গুন্ডা বাহিনী এবং ফারুক ও শিশির নামের দুজন লোকে কে তার বাসায় পাঠায়। তার বাসায় গিয়ে অনেক আজে বাজে গালাগালি করে এবং এসির গোলাম রুহানির কথা মতে মিথ্যা মামলার হুমকিও দেয় এবং ওই ভুক্তভোগীর এনআইডি ও পাসপোর্টের অরজিনিয়াল কপি এসি কে ফোনের লাইনে রেখে এসির সাথে কথা বলে সেগুলো ভূক্তভোগীর বাসা থেকে নিয়ে আসে যা সম্পূর্ন বে-আইনি।
অনুসন্ধানে জানা যায় যে এসি গোলাম রুহানির সাথে ভুক্তভোগী রিয়াদ হোসেন এর কথোপ কথনের একটি ভয়েস রেকর্ডার পাওয়া যায়, যেখানে পুলিশ নয় সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে এনআইডি ও পাসপোর্টের কপি পাওয়ার পর কনফার্ম করেন এসি।
এ সকল তথ্যের ভিত্তিতে সরাসরি মতিঝিল জোনের এসি গোলাম রুহানিকে প্রশ্ন করেন বিশেষ প্রতিনিধি যারা হায়াৎ যে আপনি কেন কোন ধরনের মামলা না থাকা সত্বেও শুধুমাত্র একটি অভিযোগের ভিত্তিতে ভুক্তভোগী রিয়াদ হোসেনের নিজ বাসা থেকে তার এনআইডি এবং পাসপোর্ট জব্দ করালেন তাও আবার পুলিশ বাহিনী ছাড়া অন্য কারো মাধ্যমে এবং এতে আপনি কতটুকু বেনিফিট হয়েছেন অথবা এটা আইনি প্রক্রিয়ায় পড়ে কিনা সে প্রথমে অস্বীকার করলেও কল রেকর্ডের কথা বলার পর স্বীকার করেন।
সংবাদকর্মী যখন জিজ্ঞাসা করলেন টাকা পয়সা বা জায়গা-জমির কোন মামলা থানায় নেওয়ার নিয়ম আছে কিনা তখন সে রেগে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ শুরু করেন এবং সংবাদকর্মীকে ঠিক একই ধরনের হুমকি-ধমকি দিতে থাকেন।
মহামান্য হাইকোর্ট নির্দেশ অনুযায়ী টাকা পয়সা অথবা জমিজমা সংক্রান্ত মামলা কোর্টে করা থানায় এ ধরনের অভিযোগ নেওয়া হয় না। সেখানে পল্টন থানার এসআই রবিন ও মাসুম জোরপূর্বক ভুক্তভোগীকে থানায় ডেকে স্টাম্প করে নেয় এবং এসি গোলাম রুহানির নির্দেশনায় ভুক্তভোগির বাসা থেকে রাত্রি সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত তার পাসপোর্ট ও এনআইডির অরিজিনাল কপি জব্দ করেন এবং তাকে মিথ্যা মামলার ভয়-ভীতি দেখান সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে।
বর্তমানে ওই ভুক্তভোগী আতংকে দিন যাপন করছে। এ ব্যাপারে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
Leave a Reply