আজ ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম:
বিআরটিসি’র বিরুদ্ধে বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে অপতৎপরতাকারীদের বিরুদ্ধে সাইবার আদালতে মামলা। চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়ালো বিআরটিসি। এডভোকেট সোহানা তাহমিনার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা উচ্চ আদালতে। মুন্সিগঞ্জ-২ আসনে ট্রাক প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করবেন এড, সোহানা তাহমিনা। লৌহজংয়ে নানা আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত। মুন্সীগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী পালিত হল মহান বিজয় দিবস। লৌহজং উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বিজয় দিবস উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী মেলার আয়োজন। লৌহজংয়ে আদালতের রায় অমান্য করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, মানবেতর জীবন-যাপন ভুক্তভোগী পরিবার। লৌহজংয়ে ভাওতা দিয়ে লবণের বিনিময়ে সর্বস্ব লুট! লৌহজংয়ে ৫ জয়িতার সম্মাননা লাভ।
||
  • Update Time : সেপ্টেম্বর, ২৪, ২০২২, ১২:৫২ অপরাহ্ণ

চলুন আজ সুনাবো এক মধ্যবিত্ত ঘড়ের ছোট ছেলে মোঃরায়হান আহমেদ এর স্বপ্ন, গ্লামারের পথে পা বাড়ানোর গল্প!

বিনোদন ডেক্সঃ

রায়হান,গাজিপুর জেলার টঙ্গি উপজেলার মরকুন গ্রামের মোহাম্মদ আমিনুর রহমান হরমুজ সাহেবের ছেলে। ছোট থেকেই মেধাবি ও পরিশ্রমী। এক ভাই এক বোনের মাঝে সেই ছোট, বোনটির বিয়ের পর রায়হানই পরিবারের একমাত্র ভরসার পাত্র। ছোট থেকেই তার স্বপ্ন ভালো একজন আর্টিস্ট হবার। ইচ্ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের খল নায়কের চরিত্রে অভিনয় করার ,বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের স্বনামধন্য খল নায়ক ডিপজলের পরম ভক্ত তিনি। পরিবারের সকল সদস্যদের মাঝে তার বাবাকে অসম্ভব রকম ভালোবাসে রায়হান। বার বার বলতে চেয়েও সে মুখ ফুটে বলতে না পারলেও বাবার প্রতি অসীম ভালোবাসা, সম্মান আর শ্রদ্ধায় সে অতুলনীয়। বাবার প্রতি এমন ভালোবাসা যেন তাকে অনুপ্রানিতো করে ভালো কিছু করার,বাবার মাথা উচু করার। কিন্তু বিধি বাম, বাবার অগাধ ভালোবাসা থাকলেও অধিক শাষন তার স্বপ্ন পূরনে বাধা,যদিও বাবা চায় তার ছেলের মুখের হাসির স্থায়ীত্ব,তবুও বাবা শাসন করেন।

মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেগুলোর জীবনটাই অন্যরকম। ছোটবেলা থেকে আর্টিস্ট হবার স্বপ্ন রায়হানের ঘুমাতে না পারার কারন। স্বপ্ন আর বাস্তবতার সাথে লড়াই করতে করতে এরা কেমন করে যেন ভালো থাকার নানা উপায় বের করে ফেলে। এদেরকে ঘিরেই পরিবারের সদস্যদের স্বপ্নগুলো আবর্তিত হয়। ভালো কিছু করতে পারলে ছেলেটি বাবা-মায়ের মুখের হাসির সীমা থাকে না। প্রত্যাশার পারদ একটু একটু করে বাড়তে থাকে। কিন্তু ঐ ছেলেটি ধীরে ধীরে বুঝতে পারে প্রত্যাশার পাহাড় টপকানো কত কঠিন। যাই হোক ধীরে ধীরে চলতে থাকে ছেলেটির লড়াই। এরা যেহেতু একটু কল্পনা প্রবণ হয় তাই দেখা যায় অনেকেরই বাস্তবতার সাথে একটা অন্যরকম সখ্যতা গড়ে ওঠে।

ধীরে ধীরে একটা আইডিওলজি ধারণ করে এগিয়ে যেতে থাকে। অনেকের ক্ষেত্রে ঠিকই কল্পনার সেই আর্টিস্ট রুপের স্বপ্নচারীণির সাথে দেখা হয়ে যায়। চলে আসে আরেক বিপত্তি। তখন একদিকে স্বপ্নকে প্রতিষ্ঠা করার লড়াই অন্য দিকে বাবার কড়া শাসন । এই লড়াই লড়তে গিয়ে মধ্যবিত্ত ঘরের অনেক ছেলেই পিছিয়ে পড়ে ক্যারিয়ারের ইঁদুর দৌড় থেকে। ফলে যার অনেক বড় একটা ক্যারিয়ার গড়ার কথা ছিল তাকে অনেকটাই সাদা-মাঠা ভাবে জীবনটা কাটিয়ে দেয়া লাগে। আর বাবা-মায়ের প্রত্যাশার বেলুনটাও ফুটো হতে থাকে। জমতে থাকে একরাশ হতাশা। অন্যদিকের গল্পও আছে। এই মধ্যবিত্ত ঘরের অনেক ছেলেই বুঝতে পারে তাকে লড়াই করে টিকে থাকতে হবে। কারণ তার ব্যাকআপ নেই, পেশী শক্তি নেই, নেই অর্থের আনাগোনা। এখানে তার টিকে থাকার একটাই মূলমন্ত্র লড়াই আর লড়াই। আর তাই লড়াই করতে করতে ঠিকই আজ রায়হান পৌঁছে যাচ্ছে সেই স্বপ্নের কাছাকাছি। তবে এবার বিপত্তি বাঁধে অন্য জায়গায়। এবার শুরু হয় সাধ আর সাধ্যের লড়াই। ছেলেটির সাধ্য কম কিন্তু সাধ অনেক বেশি।

আর ঐ চিরটিকাল লড়াই করে টিকে থাকা বাবা মায়ের মুখটা হাসিতে যতটা চওড়া হতে থাকে তারাও এক অন্যরকম স্বপ্নের জগতে বিচরণ করতে থাকেন। তবুও রায়হানের মুখ থেকে হাসি উধাও হয় না বরং মুখপল্লবে একটা পরিতৃপ্তির ছাপ দেখা যায়। আর মধ্যবিত্ত ঘরে জন্ম নিয়ে লড়াই করে নিজের অবস্থান তৈরি করে সকলের প্রত্যাশা মেটানোর চেষ্টার দিকে যখন একবার চোখ ফিরে তাকায় তখন মনে মনে বলে ওঠে, ‘ আল্লাহ তোমাকে ধন্যবাদ, আমাকে মধ্যবিত্ত ঘরে বেড়ে ওঠার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। নইলে এত হাসি, এত দুঃখ, এত সুখের সন্ধান আর কোথায় পেতাম!’

এর পরেও স্বপ্ন পূরনের আকাঙ্খায় তানজিল জনি গ্লামার ক্রিয়েটরের ষষ্ঠ ব্যাচে এডমিশন নেন রায়হান। যোগদান করেন বিভিন্ন কম্পিডিশনে। স্বপ্ন পূরন যেন হাতছানি দিচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এভাবেই একটু একটু করে এগুচ্ছে মধ্যবিত্ত পরিবারের ছোট ছেলে রায়হানের জীবন।
রায়হানের জন্য সবাই দোয়া করবো যেন গ্লামার ক্যারিয়ারে সে সফলতা অর্জন করেন। বাবা মা ও দেশের জন্য কিছু করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও পড়ুন