ঢাকা : কক্সবাজারে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি মেহেদী হাসান বাবুসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কক্সবাজারে ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ধর্ষণ মামলায় পাঁচজনকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এ বিষয়ে আজ রবিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করবে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ। তবে ধর্ষণকাণ্ডের মূল হোতা আশিককে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি।
স্বপরিবারে কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়ে ঢাকার জুরাইন এলাকার ওই নারী বুধবার রাতে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। ধর্ষণের ঘটনায় ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার মামলা করেছেন। মামলার এজাহার অনুযায়ী, কক্সবাজার শহরের লাবনী পয়েন্ট থেকে তুলে নিয়ে স্বামী ও সন্তানকে জিম্মি করে হত্যার ভয় দেখিয়ে গত বুধবার ওই নারীকে দুই দফায় ধর্ষণ করে তিন যুবক।
মামলার এজাহারে চারজনের নাম উল্লেখ এবং তিনজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিক। এজাহারভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন,আশিকের দুই সহযোগী ইস্রাফিল হুদা ওরফে জয়া ও মেহেদী হাসান বাবু এবং হোটেল জিয়া গেস্ট ইনের ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিন ছোটন। ছোটনকে ঘটনার রাতে আটক করে র্যাব।
এ ঘটনার মূল হোতা আশিকুল ইসলাম আশিক কক্সবাজার শহরের একজন চিহ্নিত ‘গ্যাং লিডার’ হিসেবে তার পরিচিতি রয়েছে। পুলিশের খাতায় তার বিরুদ্ধে ইয়াবা, ছিনতাইসহ নানা অপরাধের অভিযোগে ১৬টি মামলা রয়েছে।
ওই নারীকে ঘটনার পরদিন দুপুরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে ওই নারী ও তার স্বামী পুলিশ নিরাপত্তায় রয়েছেন।
Leave a Reply