সেলিম সম্রাট, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ইত্যেমধ্যে বইতে শুরু করেছে ইউপি নির্বাচনের হাওয়া । নিজ নিজ এলাকায় নির্বাচনী গনসংযোগ করে ব্যস্ত সময় পার করছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নে আবারও নৌকার প্রতীক নিয়ে ইউনিয়ন কে মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে চান উপজেলা আওয়ামীলীগ এর উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও বড়খাতা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেল।
হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পাইকারটারী এলাকার বাসিন্দা ৩২ বছর ধরে দায়ীত্ব পালন করা সাবেক বড়খাতা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মরহুম আজগর হোসেন আহম্মেদ এর ছেলে দুই বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেল এর বাসভবনে এ প্রতিনিধির একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বলেন,পারিবারিক সুত্রেই আমি আওয়ামীললীগ করি। বাপ দাদা জন্ম লগ্ন থেকেই আওয়ামীলীগ এর লোক ছিল। আমার বাবা সাবেক বড়খাতা ইউনিয়নের ৩২ বছর ধরে চেয়ারম্যান ছিল। তার মৃত্যুর পর আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই এবং জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সরকারী ভাবে বিদেশ সফর করেছি। আমি যখন ৫ম শ্রেণীতে পড়ি তখন থেকেই আওয়ামীলীগ এর রাজনীতির সাথে জড়িত। ১৯৮৭ সালে ছাত্রলীগের ইউনিয়ন সাধারন সম্পাদক থাকা অবস্থায় এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করে মামলায় ১মাস জেলে ছিলাম। বিএনপি জোট সরকারের আমলে আমার নেতৃীত্বে বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহন করেছি। অনেক হামলা, মামলা মোকদ্দমা মোকাবেলা করেছি। ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা সহ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর বিভিন্ন কমিটিতে সম্পৃক্ত থেকে নেতৃীত্ব দিয়েছি। বর্তমানে হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও গত ইউপি নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনিত বড়খাতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হই। আমার জীবন যৌবনে দলের জন্য ত্যাগ করেছি। সাংগঠনিক বিরোধী কোন কর্মকান্ড কখনই করি নাই, দলীয় সকল কর্মসুচীতে অংশগ্রহন করেছি এবং ব্যক্তিগত তহবিল থেকে বড়খাতা ইউনিয়ন বাসীকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছি। আমি যতদিন বেঁচে থাকব সাধ্যমত সাহায্য সহযোগিতা করে যাব ইনশাআল্লাহ। তাই আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আবারও আমি দলীয় মনোনয়ন (নৌকা প্রতিক) প্রত্যাশী। এ ইউনিয়নের সবচেয়ে বেশী, বিদ্যুৎ ও গ্রামীন সড়কের আংশিক কিছু সমস্যা, দারিদ্রতা, দুর্নীতি, মাদক সহ আরো অনেক সমস্যা আছে। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে আমি দলীয় মনোনয়ন (নৌকা প্রতিক) নিয়ে নির্বাচিত হয়ে, সমস্ত সরকারী সেবা জনগনের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিবো। বিভিন্ন প্রশিক্ষনের মাধ্যমে বেকারদের আত্বকর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দিবো। শিক্ষা,স্বাস্থ্য, দারিদ্র বিমোচন,রাস্তা ঘাট অথ্যাৎ অবকাঠামোগত উন্নয়ন করব। দারিদ্রতা,দুর্নীতি, মাদক মুক্ত করব বড়খাতা ইউনিয়নকে। সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দিব বড়খাতা হাট বাজারের ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নকে। নির্বাচিত হলে বড়খাতা ইউনিয়ন কে আমি ক্ষুধা ও ভিক্ষুক মুক্ত ডিজিটাল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলব। ইত্যেমধ্যেই গনসংযোগ শুরু করেছি। আবারও দল আমাকে মনোনয়ন দিলে এবারেও নৌকা প্রতিক নিয়ে আমি বিজয়ী হব ইনশাআল্লাহ।
দল যদি আপনাকে মনোনয়ন না দেয় তাহলে নির্বাচন করবেন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমার ভোটাররা যা চাইবে তাই আমি মেনে নিব। তবে এই ইউনিয়নে আমার মত দলীয় যোগ্য কেউ নেই বলে আমি মনে করি।
Leave a Reply